গার্লস হোস্টেলে থাকা একটি মেয়ে শখের বশে নিজের একটি ন’গ্ন ভিডিও বানিয়েছিল। তার ফোন ঘাটতে গিয়ে সেটা দেখে ফেলেছিল তার রুমমেট বান্ধবী। মজার এই ঘটনা বান্ধবী নিছক মজার ছলেই জানিয়েছিল তার বয়ফ্রেন্ডকে। তার বয়ফ্রেন্ড এরকম লোভনীয় ভিডিও দেখার জন্য খুব উৎসুক হয়ে ওঠে। নানা ছল কপটতা করে ঐ ভিডিওটি হস্তগত করে ছেলেটি।
তারপর একের পর এক হাতে হস্তান্তর হতে থাকে সেই ভিডিও। শেষে সেই ভিডিও এসে পৌঁছোয় মেয়েটির এক সহপাঠীর কাছে। আর সেই থেকেই সে ব্ল্যাকমেল করা শুরু করে মেয়েটিকে। মেয়েটি আর সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে।
ঘটনা ২ঃ মেয়েটির সঙ্গে এক বন্ধুর মধ্যমে পরিচয় হয় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক ছেলের। সেই সূত্র ধরেই তাদের প্রেম হয়। কিছুদিন প্রেমের পর তাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়। আর সম্পর্ক ভেঙ্গে দেওয়ার পর ছেলেটি তাদের ন’গ্ন চ্যাটের ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার বন্ধুদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য চাপ দিতে থাকে।
ঘটনা ৩ঃ পড়াশোনায় অসাধারণ মেয়েটি। ভালো রেসাল্ট করে স্কলারশিপ পেয়ে পড়তে যায় বিশ্বাভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু কিছুদিন পরেই তাকে বের করে দেওয়া হয় সেখান থেকে। বাতিল কড়া হয় তার স্কলারশিপ।
কারন কিছু বছর আগে মেয়েটির সঙ্গে তার গ্রামের একটি ছেলের সম্পর্ক ছিল। ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর ছেলেটি তাদের চ্যাটের স্ক্রিনশট ও অশ্লীল ছবি মেইল করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের কাছে।
ঘটনা ৪ঃ কয়েক মাস আগে মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। তারা নিজেরাই নিজেদের এরকম অন্তরঙ্গ ভিডিও বানিয়েছিল। সেটি কোনভাবে ভাইরাল হয়ে যায়। হয়তো কোনভাবে তাদের ফোনটি হারিয়ে গিয়েছিল।
আর সেখানথেকেই ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওটি। আবার এমন হতে পারে ছেলেটির কোন বন্ধু এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। যে ভাবেই হোক ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে।
এই ঘটনার পর ছেলেটি এবং মেয়েটি দুজনেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে। তারা হয়তো এই ট্রমা থেকে কখনো বেরতে পারবেনা। কারন কোন সুস্থ মানুষ নিশ্চই চায়না নিজেদের এরকম দৃশ্য অন্য মানুষে দেখুক।
এইসব ঘটনা বলার একটাই উদ্দেশ্য সেটা হল বর্তমান সমাজকে সাবধান করা। এমন কিছু কাজ করতে হয়তো বর্তমান প্রজন্ম খুব আনন্দ পায়, কিন্তু খারাপ কাজের যে পরিনতি খারাপ হবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তাই সবাইকে অনুরোধ যে এরকম ধরনের কোন ছবি বা ভিডিও বানাবেন না যাতে আপনি নিজেই পড়ে বিপদে পরেন।